Friday, April 27, 2012

নীরবতা ভেঙ্গে



পৃথিবীতে কলহের
নিত্য উপদ্রুব,
সময়ের শৃঙ্খল ভেঙ্গে
হারিয়ে যেতে চাই
           বহুদূর!
পিছুটানের শহর
আমায় নিশ্বাস
নিতে দেয় না,
ছাড়াতে দেয় না
মুহূর্তের বাধন
একমুঠো মুক্ত বায়ুর
প্রত্যাশায়
নিত্য হাহাকার

নীরবতা ভেঙ্গে
একদিন জেগে উঠি আমি,
আর জেগে উঠবে তুমিও,
ভেজা বায়ুর নিঃশ্বাসে
নেমে আসবে
এক পশলা বৃষ্টি,
হাত ধরে হাতে
আমরা চলে যাব
        বহুদূর

সৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখ


বিবর্ণ পৃথিবীতে
মাটি চষা চাষাদের অতৃপ্ত তৃষ্ণায়
ঢেলে দিয়ে একমুঠো সুখ
উত্তরী হাওয়ার আহবানে,
জড়া আর মৃত্যুর ক্লান্তি ছুঁয়ে
বেজে উঠে বোশেখী ডাক,
এর-ই মাঝে ফিরে আসে
পহেলা বৈশাখ।
ফাগুনের ভেজা কাঁপন ছিঁড়ে
বেরিয়ে আসে নিষিদ্ধ রাত,
কল্প কথার গল্প শেষে
তবুও তা নতুন প্রভাত।

ফিরে যাক ফিরে আসুক
তবুও নতুন থাক,
সৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখ।


হায় ভাটফুল ঝরেছিলে জৈষ্ঠ্যের রাতে



পৃথিবীর পথে হেটে হেটে
কোথাও থেমে যাই
রূপসী রমনীর ভরা চোখে;
মিশরীয় রমনীর আলিঙ্গন
ছিন্ন করে
হাত বাড়িয়ে দেই
ভাটফুল হাতে বালিকার দিকে।

তার ভালবাসা ডানা
মেলে দেয়
সদ্য যৌবনা বটের মতো।
কত উড়ো পাখি উড়ে আসে
নির্লিপ্ত বালিকা
ভীত হয় ডাহুকের ত্রাসে।
লজ্জাবতী বালিকা
নিজেকে গুটিয়ে নেয়,
দোলনচাপার মতো।

ভালবেসেও নিশ্চুপ!
রাত্রির নীরবতা তার চোখে।
অচেনা পথিক সব শুনে বলে,

হায় ভাটফুল ঝরেছিলে জৈষ্ঠ্যের রাতে
To Read More